অন্তঃসারশূন্য

ক্ষোভ (জানুয়ারী ২০১৪)

ক্যায়স
  • ২০

বৃষ্টি ভেজা ভারি হাওয়ায় ভেসে আসছে জানালা ভেদ করা মৃদু গানের শব্দ,
মহুয়ার মদিরা মাখানো গন্ধে নেশাগ্রস্থের মত চোখ চলে যায় জানালার অন্তরে,
সে এক অবর্ণনীয় দৃশ্য, ঠিক যেনস্বর্গ থেকে সদ্য নেমে আসা এক অপ্সরা।

বল্গা হরিণীর ন্যায় ওজস্বী তনু আশ্চর্য শান্ত ভাবে গানের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে
সাপের ফণার ন্যায় এলোকেশে ঢেউ খেলে যাচ্ছে দক্ষিণা বাতাস
মদের পিপার মতকোমরে পরা রুপালি আভা হৃদয়ে তোলে কালবৈশাখী জড়
এ যেন ৪০ বৎসরের মধ্যবয়সীর হৃদয়ে ১৮ বৎসরের যুবকের ঈস্পিত বাসনা।

পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার উগ্র বাসনা থাকা সত্ত্বেও, দীর্ঘশ্বাস জানালার কাঁচে,
সে যদি আমার অস্তিত্ব টের পায় তবে খুওব রেগে যাবে।
ললুপ্ত চোখে তাকিয়ে ভাবছিলাম আমার হৃদয় রাজ্যের একমাত্র রাজনদ্দিনি তুমি হে অপ্সরা,
আচমকা সে পেছন ফিরে তাকাল, নিশ্চয়ই আমাকে শুনতে পেয়েছে!

চোখজোড়া তার সমুদ্রের মত গভীর আর রহস্যতায় পরিপূর্ণ, প্রতিমার মত মুখখানায় একটু কষ্ট মাখানো হাসি।
পাদুটোকে মনে হচ্ছে কংক্রিটের ব্লক, কিংকরতব্ববিমুর, তারপরে গলা ফাটানো আর্তনাদ
কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক, হাতে থাকাছোট্ট মেশিনটা কপালে ঠেকিয়ে ট্রিগার চাপল সে, বুম...
রক্তশুদ্ধ একদলা মগজ এসে পরল জানালার কাঁচে, রুদ্ধ করে দিল আমার দৃষ্টি, গানের শব্দ তিব্র থেকে তিব্রতর হতে লাগলো, নিঃশ্বাস ভারি লাগছে, রক্ত, জানালা সব অস্পষ্ট হয়ে আসছে,
ধরফর করে উঠে দেখি ঘামে ভিজে গেছে শরীর, ঠাওর করলাম ঘুমের বড়ি, সিগারেট-দেয়াশলাই সবি আছে বিছানার পাশের টেবিলে।

সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ল ঘুমের বড়ির উপর, নাহ একটা বড়িতে আর কাজ হচ্ছেনা আজকাল,
সিগারেট ধরাতেই মনে পরল মেয়ে এইবার ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে,নানাবাড়িতে থাকে ও , দেখতে যাইনা বহুকাল, ওর মুখখানি যে অবিকল...
২৫শে শ্রাবণ ছিল সেদিন, যোগবিয়োগের এই খেলায় বিছানার চাদর ধারণ করেছিল বৃষ্টি ভেজা গোলাপের বর্ণ
মেয়ে ডাক্তার হয়ে একজনঅপ্সরাকে হলেও বাঁচাতে পারবে এই আশাই রাখছি এখন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিয়া সুলতানা ভালো লাগলো
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন...
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪
দীপঙ্কর বেরা গদ্য । ভাল কবিতা । ভালই লাগল
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪
সুমন মেয়ের মায়ের পরিণতিটা স্পষ্ট হয়নি, আর স্বপ্নদৃশ্যের সাথে শেষটাও মেলানো গেলো না। ক্ষুদার্ত মানুষ লোভনীয় খাবারের স্বপ্ন দেখতেই পারে (....মেয়ে ডাক্তার হয়ে একজনঅপ্সরাকে হলেও বাঁচাতে পারবে এই আশাই রাখছি এখন। এখানটার কথা বলছিলাম মেলাতে পারছি না) ভাল লাগল।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ২৫শে শ্রাবণ ছিল সেদিন, যোগবিয়োগের এই খেলায় বিছানার চাদর ধারণ করেছিল বৃষ্টি ভেজা গোলাপের বর্ণ। মেয়েকে জন্ম দিতে গিয়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মা মারা যান। আশা করছি আপনি এখন বুঝতে পারবেন।
দুরের কথা মর্মস্পর্শী একটা লেখা, অনেক ভাল লাগলো
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কমেন্টের জন্য.. ভালো থাকবেন...
Rumana Sobhan Porag অনেক ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ... ভালো থাকবেন...
ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভাল লিখেছেন। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই... ভালো থাকবেন.. ভালবাসা রইল...
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন আবেগ দিয়ে লেখা চমতকার একটা কবিতা। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাই... ভালো থাকবেন... অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল...
তানি হক অনেক কবিতার মাঝে অন্যরকম ভাললাগাময় একটি কবিতা ... আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ আপু। আপনিও খুব ভালো লিখেন...
মাসুম বাদল খুব যত্নে লিখা, বোঝা যায়। আপনার জন্যে অশেষ শুভেচ্ছা...
ধন্যবাদ ভাই... ভালো থাকবেন... অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল...
ইসহাক খান গদ্যছন্দে সুন্দর বর্ণনা। অনেক শুভেচ্ছা জানবেন, সুধী।
ধন্যবাদ ভাই... ভালো থাকবেন...

২০ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ভালবাসা”
কবিতার বিষয় "ভালবাসা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারী,২০২৫